পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক রশিদ লতিফ আজব এক দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা আইপিএল খেলাটা মিস করেন। এবং আইপিএলে খেলতে না পারার জন্যই নাকি, পাকিস্তান সম্♍প্রতি তাদের মান অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম মরশুমে পাকিস্তানে๊র প্লেয়াররা এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। এর পর মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে পাকিস্তানের জন্য ভারতের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) পাকিস্তানের প্লেয়ারদের আইপিএলে নিষিদ্ধ করে দেয়। এমন কী ভারতীয় ক্রিকেট টিমও পাকিস্তানে গিয়ে কোনও রকম ম্যাচ খেলার অনুমতি পায় না। আইসিসি বা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কোনও টুর্নামেন্ট ছাড়া๊, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজও খেলারও অনমুতি নেই টিম ইন্ডিয়ার। ভারতের এই সমস্ত বিধিনিষেধ আবার পাকিস্তান সহজে হজম করতে পারে না।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো- কামিন্সের বলে কভার ড্রাইভে দুর্দান্ত চার হাঁকিয়ে চোখ মℱারলেন শুভমন গিল, ꦕজানেন কাকে?
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লতিফ বলেছেন, ‘অবশ্যই, আমরা আইপিএল খেলাটা মিস করি, যদি আমরা খেলতাম, তবে আগ্রহ এবং ব্যবসা আরও বাড়ত। আমাদের খেলোয়াড়রা খেললে, কিছু সম্প্রচারকারী সংস্থা অবশ্যই পাকি🐽স্তানে আইপিএলের 🌃সম্প্রচার করত।’
সোহেল তানভীর, কামরান আকমল এবং ইউনিস খান ২০০৭ সালের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এবং প্রথম বছর রাজস্থান আইপিএলের শিরোপা জিতেছিল। আইপিএল যেভাবে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ𒐪বং আফগানিস্তানের মতো দেশের ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়ছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় টি২০ লিগ খেলে তাঁরা কী ভাবে উপকৃত হচ্ছেম, তা প্রতিফলিত করেছেন।
রশিদ লতিফের দাবি, ‘নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশের খেলোয়াড়রা আইপিএলে খেলছেন এবং বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে খেলেছেন। আইপিএলে খেলছেন প্যাট কামিন্স, জোফ্রা আর্চার, কাগিসো রাবাদার মতো বিশ্বের সেরা বোলার। যারা এই টুর্নামেন্টে বল করছেন, তাঁদের জন্য প্রতিযোগিতাও অনেক বাড়ছে। তাই সকলেই শ൲ীর্ষ-শ্রেণীর সুবিধা সহ অনেক কিছু শিখতে পারছেন।’
প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আরও বলেছেন, ‘আপনি যখন ফুটবলের কথা বলেন, তখন আপনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এবং রিয়াল মাদ্রিদের কথা মনে করেন। কারণ তাদের সেরা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং খেলোয়াড়রা এমন জায়গা ছেড়ে যেতে চান না। সুতরাং আপনি যখন বিশ্বের সেরা লিগ আইপিএলে খেলবে꧋ন, আপনি যখন অন্য দেশে খেলতে যান, তখন আপনিও অনেক আত্মবিশ্বাসী থাকবেন।’
সঙ্গে লতিফ যোগ করেছেন, ‘আইপিএল আফগানিস্তানের উত্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। রশিদ খানের পর তারা নূর আহমেদ, আজমতউ💖ল্লাহ ওমরজাই এবং ফজলহক ফারুকিকে নিয়ে এসেছে - তাঁরা জাতীয় পর্যায়েও তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলেছেন।’