প্রথমত, প্রায় সাড়ে তিন বছর পরে ফের দেশের জার্সিতে টি-২০ খেলার সুযোগ পেলেন জর্জ লিন্ডে। নিজের কামব্যাক ম্যাচেই তিনি মিস করেন টিমবাস। তাঁকে ছাড়াই কিংসমিডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন দক্ষিণ আফ্রিকার সতীর্থরা। পরে পুলিশের গাড়ি সামনে রেখে দলের সঙ্গে যোগ দিতে হোটেল ছাড়েন লিন্ডে।
এমন ঘটনায় যারপরনাই বিব্রত হন প্রোটিয়া অল-রাউন্ডার। তিনি মাঠেই বাড়তি কিছু করে দেখানোর তাগিদ অনুভব করেন এবং রাগ মেটান পাকিস্তানের বোলার ও ব্যাটারদের উপরে। ২০২১ সালের জুলাই মাসের পরে ফের আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে মাঠে নেমে লিন্ডে প্রথমে ব্যাট হাতে কেরিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেন। পরে কেরিয়ারের সেরা বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত করেন তিনি। সুতরাং, সব দিক দিয়েই নিখুঁত কামব্যাক ঘটান লিন্ডে।
ডারবানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা মাত্র ২৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকলেও ডেভিড মিলার ও জর্জ লিন্ডের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের সুবাদে প্রোটিয়ারা লড়াই করার রসদ জোগাড় করে নেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৩ রান তোলে। ৪০ বলে ৮২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ডেভিড মিলার। তিনি ৪টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। ২৪ বলে ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিন্ডে। তিনি ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন এনরিখ ক্লাসেন ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ১২ রান করে আউট হন।
পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি। ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন আরবাব আহমেদ। আব্বাস আফ্রিদি ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৮ উইকটের বিনিময়ে ১৭২ রানে আটকে যায়। ১১ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ লিড নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। খাতা খুলতে পারেননি বাবর আজম। ক্যাপ্টেন রিজওয়ান ৬২ বলে ৭৪ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। যদিও তাঁর প্রয়াস দলকে জয় এনে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। রিজওয়ান ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে ৩১ রান করেন সইম আয়ুব।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে ২১ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন জর্জ লিন্ডে। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন জর্জ লিন্ডে।