'রেজিমেন্টেড পার্টি' সিপিআই(এম)। অর্থাৎ - প্রাচীন এই বামপন্থী রাজনৈতিক দল শৃঙ্খলা ও অনুশাসন মেনে চলে। অন্তত খাতায় কলমে তেমনটাই দাবি করা হয়। এদিকে, সেই রেজিমেন্টেড পার্টির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকেই কিনা একে অপরকে কামড়ে দিলেন নেতা, কর্মীরা! সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা খবরে অন্তত এমনই দাবি সামনে আসছে!ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, কামড়াকামড়ির এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (শনিবার - ২৭ এপ্রিল, ২০২৫) রাতে। কলকাতা পুরনিগম এলাকার অন্তর্গত ৯১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিআই(এম)-এর যে এরিয়া কমিটির অফিস রয়েছে, সেখানেই বৈঠক চলাকালীন দলের স্থানীয় ও কলকাতা জেলা নেতৃত্বের মধ্য়ে নাকি তুমুল কথা কাটাকাকাটি হয়।খবরে প্রকাশ, এই কথা কাটাকাটির জেরে জেলা নেতাদের স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে নাকি কুকথাও শুনতে হয়। ক্রমে সেই বিবাদ হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। শুরু হয় মারপিট। এমনকী, সদ্য হাসপাতাল থেকে বেঁচে ফেরা এক নেতার হাতে কোনও এক দলীয় সহকর্মীই নাকি সটান কামড় বসিয়ে দেন! সেই ক্ষত এতটাই গভীর ছিল, যে পরে তা সেলাই করতে হয়! এর পাশাপাশি, আরও এক সিপিআই(এম) নেতার কপাল ফেটে যায় বলে জানা গিয়েছে। ফলত, তাঁকেও মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধতে হয়েছে!এই ঘটনা জানাজানি হতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন সিপিআই(এম)-এর শীর্ষস্তরের নেতারা। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে যেমন ক্ষুব্ধ, তেমনই লজ্জিত। কিন্তু, প্রকাশ্যে কেউই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না। তবে, আড়ালে আবডালে আলোচনা চলছে, এমনকী কটাক্ষও চলছে! কোনও নেতা নাকি দলের অন্দরের এই কোন্দল মেটাতে 'সত্যনারায়ণের পুজো' দেওয়ারও কথা বলেছেন!আরও জানা গিয়েছে, কসবার ওই দলীয় কার্যালয়ে মাস কয়েক আগেও বৈঠক চলাকালীন তুমুল অশান্তি হয়েছিল। যার জেরে সেখানেই এক নেতা হৃদরোগে আক্রান্ত হন! প্রায় ২০ দিন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। তারপর সেখান থেকে ছাড় পান তিনি। সূত্রের দাবি, শনিবার সেই নেতার হাতেই আবার কেউ একজন কষিয়ে কামড় দিয়েছেন!সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুসারে - শনিবারের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও এ নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করেননি কলকাতার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা সিপিআই(এম)-এর কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপু দাস।অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, গোটা ঘটনা বিস্তারিতভাবে লিখিত আকারে জেলা কমিটিকে জানাতে বলেছেন দলের কলকাতায় দলের জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার।ে