পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গোটা দেশ কেঁপে উঠেছে। জঙ্গিদের এই নির্মম নিষ্ঠুর হত্যা চালানোর বদলা চায় দেশের মানুষ। সেই প্রস্তুতি চলছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচটি পদক্ষেপ করা হয়েছে। যা ধাক্কা দিয়েছে পাকিস্তানকে। আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন, পাকিস্তানের নাগরিক কেউ থেকে থাকলে তা চিহ্নিত করে ওই দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। এই আবহে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন বঙ্গ–সফরে আসছেন বলে সূত্রের খবর।
এদিকে বাংলায় এসে একাধিক দফতরের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। কিন্তু কবে স্বরাষ্ট্র সচিব আসছেন? আগামী ২ মে কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে। ওইদিনই বিএসএফ, সাবসিডিয়ারি ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, এনআইএ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফ–সহ বেশ কয়েকটি এজেন্সির শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা, নির্বিঘ্নে সবটা ঘটাতে তৎপর প্রশাসন
অন্যদিকে বাংলায় এসে এমন বৈঠক কেন? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বাংলার ‘চিকেন নেক’ সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির অবস্থান পাল্টে গিয়েছে। তাই তো পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আর পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার নেপথ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তাই পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এবং বাংলার ‘চিকেন নেক’ সুরক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের কলকাতায় এসে বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই সূত্রের খবর।
তাছাড়া মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে নানা তথ্য উঠে এসেছে। বহিরাগত যোগ নিয়ে তথ্য পেয়েছে সিট। ওয়াকফ আইনের বিরোধিতাকে ঢাল করে বাংলাদেশের মৌলবাদীদের যোগসাজশ নিয়ে একাধিক তথ্য রাজ্য সরকারের হাতে এসেছে। সেটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই বিশেষ বৈঠক এবং সময়সূচি জানিয়ে নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা আছে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি–সহ পুলিশ কর্তাদের। এই বৈঠকে মূল অ্যাজেন্ডা হতে চলেছে সীমান্ত সুরক্ষা।