কসবায় ডিআই অফিস চত্বরে লাঠিপেটা। পিঠে, পায়ে শরীরের বিভিন♕্ন জায়গায় দগদগে দাগ। এরপর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। আর রাত বাড়তেই এসএসসি ভবনের সামনে ধরনায় চাকরিহারা শিক্ষকরা। আচার্য সদনের বাইরে আসতে শুরু করেন শিক্ষকরা। চাকরি নেই। আগামী দিনে কী হবে সেটা কেউ জানেন না। সেই পরিস্থিতিতে এবার রাতেও শুরু ﷽হল জমায়েত। অনেকটা যেন আরজি করের আন্দোলনের মতো রাত দখল।
প্রাক্তন বিচারপতি তথ♎া বিজেপি এমপি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ༺্যায়ও যান ওই চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে।
এদিকে পুলিশও আসে এলাকায়। তাদের সরে যাওয়ার জন্য় অনুরোধ করেন। তবে আন্দোলনকারীরা অবশ্য় পিছু হꦦঠতে রাজি নন। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তাঁদের।
আন্দোলনকারীদের দাবি, আমরা ꦅসরব না। চাকরি হারিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে🦹ন তারা।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্❀যায় নানাভাবে চাকরিহারাদের পাশে থাকার কথা বলেন। রাত পর্যন্ত এলাকায় কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষক রয়েছেন।
তাঁদের দ🐈🅘াবি, রাতেও তাঁরা এখানেই কাটাবেন। এলাকায় পুলিশ রয়েছে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা ইতিমধ্য়েই তাদের আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে চান। তবে রাজনীতির বৃত্তের বাইরে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ཧসঙ্গে নিয়ে তাঁরা আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। তাঁদের একাংশের দাবি, এই সরকারকে আমরা নিয়ে এসেছিলাম। এই সরকারকে আমরাই টেনে নামাব।
এদিকে আন্দোলনকারীদের তরফে একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সে🍃খানে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার শিয়ালদা থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত মিছিল হবে♉। বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজকেও আহ্বান জানানো হয়েছে। শুক্রবার এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।
তবে 𝓰এক্ষেত্রে ﷽সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ যাতে পাশে থাকেন সেই আহ্বান জানানো হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত এই আন্দো🍌লন কোন দিক🐲ে মোড় নেয় সেটাই এখন দেখার।
এদিকে বুধবার দেখা যায় অসুস্থ শরীরেও আন্দোলনে এসেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁদের অনেকেই বুঝতে পারছেন না তাঁদের কি হতে পা🅺রে!
অনেককেই ব্যাঙ্কের ইএমআই শোধ করতে হয়। বাড়িতে অসুস্থ পরিজন রয়েছে।🌠 কোনও কোনও শিক্ষক শিক্ষিকার নিজের চিকিৎসার ব্যাপার রয়েছে। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন সেটা বুঝতে পারছেন না।
এদিকে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে অনেকেই অভ্যস্ত নন। তাঁরাও নেমেছেন আন্দোলনে। এদিন গড়িয়াহাটে আন্দোলনস্থলে দেখা ❀যায় চাকরি যাওয়া একাধিক শিক্ষিকার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এমন অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা যাঁদের চাকরি রয়েছে। তাঁরা সহকর্মীদের পাশে থাকার কথা বলেন। এভাবে রাস্তায় দেখে অনেকেরই চোখে জল। কেঁদে ফেলেন তাঁরা।
এক চাকরিহারা বলেন, আইবি থেকে বাড়িতে লোক গিয়েছে শুনলাম। কেন ব💞ুঝতে পারছি না।