শীত কড়া না হলেও হালকাভাবে পড়েছে কলকাতা শহরে। আর এই আবহে শহরবাসী সাপের চাপে পড়েছে। শীতে সাপের উৎপাত সেভাবে কখনও দেখা যায় না। কিন্তু এবার এমন ছবিই স্পষ্ট হচ্ছে। আর তাতে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে দাপট দেখা যাচ্ছে চন্দ্রবোড়া সাপের। তার সঙ্গে দেখা মিলছে কেউটে, গোখরোরও। সাপ দেখা গিয়েছে বলে শহরে বন দফতরের অফিসে প্রত্যেকদিনই ফোন আসছে। সঠিক সময়ে বন দফতরের কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন বলে প্রাণে বাঁচছেন অনেকে। এই শীতের মরশুমে প্রায়ই দিনে বিষধর সাপ উদ্ধার হচ্ছে ১০টি। এই তথ্য বেশ চমকে দেওয়ার মতো।
বন দফতর সূত্রে খবর, নভেম্বর–ডিসেম্বর একমাসে কলকাতা, সল্টলেক ও নিউটাউন এলাকায় দেড়শোর বেশি চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধার হয়েছে। কেউটে এবং গোখরো উদ্ধার ১০০র বেশি হয়েছে। সাপ কেন বেরিয়ে আসছে? বন দফতর তথ্য দিচ্ছে, শীতে চন্দ্রবোড়ার ব্রিডিং করার সময়। তাই চন্দ্রবোড়া বের হচ্ছে বেশি সংখ্যায়। তবে কেউটে এবং গোখরোও দেখা যাচ্ছে। কলকাতা, সল্টলেক এবং নিউটাউনে বিষধর সাপ বের হচ্ছে। বন দফতরের কর্মীরা সেইসব বিষধর সাপ উদ্ধার করছেন। তবে এই ডিসেম্বর মাসে বারবার দৌড়তে হচ্ছে। এটাই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: খানাকুলে বিশাল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু, কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে করছে সেচ দফতর
গত একসপ্তাহে এই ছবিটা মারাত্মক আকার নিয়েছে। বন দফতর সূত্রে খবর, শহর কলকাতা থেকে শুরু করে সল্টলেক এবং নিউটাউন থেকে সাতটি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটি চন্দ্রবোড়া, দু’টি কেউটে এবং একটি গোখরো। চন্দ্রবোড়া বেশি বের হচ্ছে নিউটাউন এলাকায়। এই নভেম্বর মাসেও একজন সাপের কামড় খেয়েছেন। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সার্দান অ্যাভিনিউয়ের একটি বাড়ির ছাদ থেকে বিষধর সাপ উদ্ধার করে বন দফতর। আর নিউটাউনে চন্দ্রবোড়ার পাশাপাশি কেউটে ও গোখরো বেরিয়ে পড়ছে।