হুগলির মগরা। সেখানেই একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে রোবোটিক্সের ক্লাস চলাকালীন এক ছাত্রীকে খারাপভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে। বুধবার এই ঘটনা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর বৃহস্পতিবার গোটা ঘটনা জানানো হয় থানায়। স্কুল চত্বরেও অভিভাবকরা এনিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে গোটা বিষয়টি জানতে চান। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। অভিভাবকদের একাংশের দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষ এনিয়ে তাঁদের সঙ্গে উপযুক্ত সহায়তা করেনি। স্কুলের সর্বত্র সিসি ক্য়ামেরা রয়েছে কি না সেটাও প্রশ্ন করা হয়েছিল কিন্তু সেব্যাপারে তাঁরা যথাযথ উত্তর দেননি।
স্কুলের অ্যাডমিশন কাউন্সিলের অন্যতম মানব পাল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, একটি এজেন্সির অধীনে আমাদের স্কুলে রোবোটিক্স পড়ানো হয়। সেই এজেন্সির মাধ্যমেই তিনি এসেছিলেন। ওই শিক্ষক আমাদের স্কুলের সরাসরি কেউ ছিলেন না। তিনি এজেন্সির মাধ্যমে এখানে এসেছিলেন। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরেই স্কুল থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গোটা ঘটনায় ওই শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। অভিভাবকদের একাংশের দাবি স্কুলের আরও ছাত্রীদের সঙ্গে তিনি এই ধরনের আচরণ করেন।এটা কোনওভাবেই মানা যায় না। গোটা ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। সেই সঙ্গেই এই ঘটনার দায় স্কুল কর্তৃপক্ষ কীভাবে এড়িয়ে যেতে পারে সেই প্রশ্নও উঠছে। কারণ তিনি এজেন্সির মাধ্যমে এলেও ঘটনার দায় কি এড়িয়ে যেতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ?
তবে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অভিভাবকদের মধ্য়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁদের দাবি নামী বেসরকারি স্কুল কেন আরও সতর্ক হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে এবার।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
এদিকে বর্তমানে অনেক স্কুলেই গুড টাচ ও ব্যাড টাচ সম্পর্কে বোঝানো হয়।এমনকী এই ধরনের কোনও ঘটনা হলে কী করণীয় সেটাও ছাত্রীদের জানিয়ে দিয়েছে স্কুল।আর সেই স্কুলেই এবার খোদ শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠল খারাপভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ। আর তারপরই স্কুলের সেই ছাত্রী গিয়ে গোটা ঘটনা পরিবারকে বলে দিয়েছে। তারপরের দিনই গোটা ঘটনা পরিবারকে জানিয়েছিল ওই ছাত্রী। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের কোনও বক্তব্য মেলেনি।