বিদায় নিচ্ছেন মা। আবার একবছরের অপেক্ষা। সেই বিজয়া দশমী উপলক্ষ্য়ে দুদেশের মধ্যে সম্প্রীতির ছবি অসমের করিমগঞ্জ জেলায়। ঠিক যেন বাংলার ইছামতী। যখন এই দুর্গাপুজোতেই সাম্প্রদায়িক হানাহানি, দুর্গামণ্ডপে তাণ্ডব চালানোর ছবি দেখে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব, তখনই অসমে দেখা গেল দুদেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার মন ভালো করা ছবি। করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদীকে অসম ও বাংলাদেশের সীমান্ত বলে গণ্য করা হয়। শুক্রবার দুদেশের বাসিন্দারা প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষ্য়ে ভারত ও বাংলাদেশের বাসিন্দারা জড়ো হয়েছিলেন নদীর দুই পাড়ে। নৌকার উপর প্রতিমা চাপিয়ে নদীতে ঘোরানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও একবারে নদীর মাঝামাঝি নৌকা নিয়ে হাজির হন। এরপর দুদেশের বাসিন্দারাই মিষ্টি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এদিকে নদীর এক পাড়ে রয়েছে অসমের আওতায় করিমগঞ্জ জেলা। নদীর অপর পাড়ে বাংলাদেশের দিকে যোকীগঞ্জ। তবে বাংলাদেশের দিকের তুলনায় অসমের দিকেই দুর্গাপুজোর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। বিজয় দশমীর এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করেন দুদেশের মানুষই। মাইকে একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এবছর সেই কোন সকালে নিরঞ্জনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শেষ হতে হতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নজরদারিতে দুই বাংলার মানুষ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এবছর সাম্প্রদায়িক হানাহানির জেরে নিরঞ্জনের শোভাযাত্রার সেই জৌলুসে কিছুটা ভাটা পড়েছিল।