রবিবার কাশ্মীরের গান্দেরবালে সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারান ৭ জন। এই ঘটনায় এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লা। পাকিস্তানকে এই নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। ফারুক বলেন, 'আমি পাকিস্তানের নেতৃত্বকে বলতে চাই, তারা যদি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়, তাহলে তাদের এসব বন্ধ করতে হবে। কাশ্মীর কখনও পাকিস্তান হবে না। আসুন আমরা মর্যাদার সাথে বাঁচি এবং সফল হই।' (আরও পড়ুন: এ যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি, গান্দেরবালে রক্ত ঝরার পর বারামুল্লায় নিকেশ এক জঙ্গি)
আরও পড়ুন: 'সপ্তম বেতন কমিশনের সুবিধা...', রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় রায় আদালতের
আরও পড়ুন: খলিস্তানিরা কানাডার 'গোপন এজেন্ট', বিস্ফোরক দাবি ভারতীয় হাইকমিশনারের
এরপর তিনি আরও বলেন, 'তারা ৭৫ বছর ধরে চেষ্টা করেও পাকিস্তান বানাতে পারেনি। তাহলে এখন সেটা কীভাবে সম্ভব হবে?... সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটানোর সময় এসেছে, নইলে পরিণতি খুবই গুরুতর হবে... তারা যদি আমাদের নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে তাহলে আলোচনা কীভাবে হবে? গতকালকের এই হামলা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ছিল... পরিযায়ী দরিদ্র শ্রমিক এবং একজন ডাক্তার প্রাণ হারিয়েছেন। এ থেকে সন্ত্রাসীরা কী পাবে? তারা কি মনে করে যে তারা এখানে একটি পাকিস্তান তৈরি করতে পারবে... আমরা এই সন্ত্রাসবাদকে শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা এই দুর্দশাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাই।' (আরও পড়ুন: জার্মানিগামী ভিস্তারার বিমানে বোমাতঙ্ক, আফগান আকাশসীমায় ঢুকতেই দিল না তালিবানরা)
আরও পড়ুন: গৌরী লঙ্কেশ খুনে অভিযুক্তের শিবসেনায় যোগ নিয়ে বিতর্ক, পদক্ষেপ একনাথ শিন্ডের
আরও পড়ুন: ১-১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে চাপবেন না, হুমকি খলিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের
উল্লেখ্য, রবিবার গান্দেরবাল জেলায় জঙ্গি হামলায় এক চিকিৎসক সহ মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, গান্দেরবালে একটি শ্রমিকদের ক্যাম্পকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি চালিয়েছিল। ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ৬ জন নির্মাণকর্মী। এদিকে এই হামলায় আরও ৫ জন কর্মী জখম হন। কানগান সাবডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এদিকে হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু কর করে পুলিশ ও সেনা। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই অভিযানে এখনও কোনও জঙ্গি ধরা পড়েনি। যে এলাকায় এই গুলি চলেছে, সেটি গভীর জঙ্গলের এলাকা বলে খবর। তবে নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুততার সঙ্গে সেখানে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলে। জানা গিয়েছে, গান্দেরবালে একটি টানেল নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিহত শ্রমিকরা। তাঁরা এক প্রাইভেট সংস্থার হয়ে সেখানে নিযুক্ত ছিলেন।