বিহারের তানিষ্কের শোরুমে ডাকাতির মামলায় এক রুদ্ধশ্বাস গুলি যুদ্ধে নিহত মূল অভিযুক্ত চুনমুন ঝা। বিহারের আরারিয়া, পুর্নিয়া জেলার সীমান্তে শনিবার ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে গুলির যুদ্ধে লিপ্ত হয় ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী চুনমুন। জানা গিয়েছে, তখনই পুলিশি এনকাউন্টারে নিহত হয় চুনমুন। ঘটনায় ৫ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলেও খবর। তবে আহত পুলিশকর্মীরা বিপন্মুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
এই চুন্নুন ঝাকে ঘিরে ঘোষিত হয়েছিল ৩ লাখ টাকার পুরষ্কার। জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের জেলবন্দি সুবোধ সিংয়ের গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য এই চুনমুন ঝা। বিহারের আরারিয়ার বাসিন্দা চুনমুন, পুর্নিা, আরায় একের পর এক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সোনার দোকান লুটে সে সিদ্ধহস্ত ছিল বলেও খবর। বিহার পুলিশ বলছে, সীমাঞ্চল বেল্টে দাগি ১০ অপরাধীর মধ্যে একজন ছিল চুনমুন ঝা। এছাড়াও পূর্বাঞ্চল, তিরহাত, কোশি বলয়তেও চুন্নুন ছিল তাবড় অপরাধীর তালিকায়। পুর্নিয়া জেলার ডিআইজি প্রমোদ কুমার মণ্ডল বলছেন,'তার এক সহযোগী অন্ধকারে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে, অন্যদিকে আরারিয়া পুলিশ, এসপি অঞ্জনী কুমারের নেতৃত্বে, অন্য একজন গ্যাং সদস্যকে খুঁজে বের করার জন্য এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।' জানা গিয়েছে, বিহার পুলিশের এসটিএফের গুলিতে নিহত হয়েছে এই চুন্নুন। পুলিশ সদর দপ্তরের এসটিএফ কর্মকর্তা বলেন, ‘২০২৪ সালের ২৬ জুলাই পুর্ণিয়া শহরের তানিষ্ক জুয়েলারি শোরুমে ডাকাতির পর থেকে চুনমুন ঝা এসটিএফের নজরদারিতে ছিল। চুনমুন ঝা সহ ছয়জনের একটি দল তানিষ্ক জুয়েলারি থেকে ৩.৭০ কোটি টাকার সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। ১০ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সশস্ত্র ৬ দুষ্কৃতী ঢোকে আর ১০ কোটির সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয়।’
( US on Bangladesh: মার্কিন স্পাই চিফ তুলসীর ‘খলিফা’ মন্তব্যে ইউনুসের বাংলাদেশ ফুঁসে উঠতেই এল ট্রাম্প প্রশাসনের বার্তা)
( Rohingya Terrorist: মাছ ব্যবসায়ী পরিচয়ে গা ঢাকা, পাহাড় থেকে পড়ে চোট! খবরে বাংলাদেশে ধৃত রোহিঙ্গা জঙ্গি আতাউল্লাহ)
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিহারের নরপতগঞ্জে চুনমুনের থাকার খবর পাওয়া গিয়েছিল। ঘড়িতে তখন রাত ২ টো। তখনই চুনমুনের হদিশ পায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, চুনমুন পুলিশের কাছে ধরা না দিয়ে গুলি চালাতে থাকে। ফলে দুই পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়। মুখোমুখি চলে গুলির লড়াই। পুলিশের গুলিতে আহত চুনমুনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।