সম্প্রতি এ আর রহমানের কম্পোজ করা গানের নিন্দে করতে শোনা গিয়েছিল সোনু নিগমকে। আর এবার গায়ক রহমানকেও নিয়ে মুখ খুললেন সোনু। তাঁর সাফ কথায়, রহমান ‘প্রশিক্ষিত গায়ক নন’, তবে তাঁর কণ্ঠে ‘সুন্দর সুর’ রয়েছে। সোনু আরও বলেন যে রহমান নিজেও স্বীকার করবেন যে তিনি একজন দুর্দান্ত গায়ক নন। তবে সোনু বলেন, রহমানের প্রথাগত প্রশিক্ষণ না থাকলেও তাঁর গলায় সুর রয়েছে।
O2 ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোনুকে রহমানের গানের দক্ষতা মূল্যায়ন করতে বলা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘খুব স্পষ্ট কথা যে তিনি (এ আর রহমান) খুব প্রশিক্ষিত গায়ক নন। তবে ওঁর কণ্ঠে সুন্দর সুর রয়েছে। উনি নিজেও নিজেকে খুব বড় গায়ক দাবি করবেন না, তাহলে আমরা কীই বা বলতে পারি? রহমান জানেন যে তাঁর গলার টেক্সচার খুব সুন্দর তবে তিনি কখনওই নিজেকে দুর্দান্ত গায়ক বলে দাবি করেননি। তিনি একজন দুর্দান্ত সুরকার, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি সর্বদা সুরে থাকেন। মূল কথা হলো সুর থাকা। সুরে না থাকলে ভালো ভয়েস টেক্সচার হয়েও কী লাভ? ওঁর গলা হয়তো ভালো নয়, কিন্তু উনি সব সময় সুরে থাকেন কারণ উনি এ আর রহমান।’
সোনু নিগম a এ আর রহমানের ১৯৯০-এর দশকে একসঙ্গে কাজ করা শুরু হয়েছিল এবং ওঁরা প্রায় তিন দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করেছেন। যদিও সোনু মূলত একজন গায়ক আর রহমান সুরকার, তবে একসঙ্গে কাজ করে খ্যাতিও পান। রহমানের সুরে 'খোয়াজা মেরে খোয়াজা, তেরে বিনা এবং রেহনা তু সহ বেশকিছু সুপরিচিত গান গেয়েছিলেন সোনু।
রহমানের গান গাওয়ার বিষয়ে কথা বলার সময়, সোনু একটি স্মরণীয় মুহূর্তের কথাও টেনে আনেন। সোনু বলেন, রহমান তাঁকে যোধা আকবর (২০১৩) ছবির ‘ইন লামহোঁ কে দামান মে’ ট্র্যাকের একটি ছোট অংশে সুর দেওয়ার অনুমতি দেন। সোনু জানিয়েছেন যে গানের শেষের দিকটা, কেমন রাখবেন এবিষয়ে রহমান তাঁর মতামত চান। আর তখন সোনু সেই অংশটির সুর করেন। সোনু গর্বের সঙ্গে বলেন, ‘উনি আমাকে ওই অংশটুকু সুর করার অনুমতি দিয়েছিলেন। রহমানের সঙ্গে সঙ্গেই সেটা পছন্দও হয়েছিল। পরে আমার সুর করা অংশটিই গানে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।’
আরও পড়ুন-ঠিক কী কারণে ডিভোর্স হয়েছিল হৃত্বিক-সুজানের? প্রাক্তন বউমাকে নিয়ে মুখ খুললেন রাকেশ রোশন
আরও পড়ুন-মুসলিমকে বিয়ে করেও ধর্মান্তরিত হননি দেবলীনা, এবার সামনে এল 'গোপী বহু'র ছেলের নাম