মেয়ে গরিমা ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রী। মেয়ের এখন বয়ঃসন্ধির সময়। কিন্তু তার মধ্যেই ফের রুদ্রজিৎ রায়ের সঙ্গে ঘর বাঁধলেন মা মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মায়ের বিয়েতে গরিমাকে চুটিয়ে নাচতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এত বড় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা কঠিন ছিল অভিনেত্রীর জন্য? এবার তা নিয়েই মুখ খুললেন মল্লিকা।
‘সোহাগী সিঁদুর’ খ্যাত অভিনেত্রী আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে জানান, তাঁর মেয়ের যখন ১১ বছর বয়স সেই সময় থেকেই নাকি গরিমা তার মাকে বলত নতুন করে জীবন শুরু করার কথা। মল্লিকার কথায়, 'সত্যি বলতে বেশি বয়সে বিয়ে কুন্ঠাবোধ হচ্ছিল। মেয়েই উৎসাহ নিয়ে সবটা করিয়েছে। আর আমার মেয়ে ১৭ বছর হলেও একটু ছেলেমানুষ। এখন তাঁর আনন্দ মায়ের বিয়ে দেখবে। ওর ইচ্ছে ছিল মায়ের বিয়েতে নিত-কনে হবে।’
পাশাপাশি অভিনেত্রী তাঁর স্বামীর সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক নিয়েও নানা কথা ভাগ করে নেন। তিনি বলেন, ‘এখন রুদ্র আর মেয়েকে কথা বলতে দেখলে কেউ বলবে না যে ও গরিমার বাবা নয়।’ মেয়ে গরিমাকে ঘিরেই অভিনেত্রীর গোটা জগৎ। মল্লিকার কথায়, মেয়ে খুশি থাকলে, তিনিও খুশি।
আরও পড়ুন: মেয়ে সোনাক্ষীকে অপমান! 'কে হিন্দু ধর্মের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব দিয়েছে?' মুকেশকে ধুয়ে দিলেন শত্রুঘ্ন
বর্তমানে ‘গীতা এলএলবি’ ও ‘দুই শালিক’ মেগায় দেখা যাচ্ছে মল্লিকাকে। খলচরিত্রেই তাঁকে বেশি দেখা যায়। তবে পর্দার সঙ্গে বাস্তবের মল্লিকার একেবারেই মিল নেই।বাস্তবের মল্লিকা একেবারে অন্যমানুষ। তাঁর জীবনে প্রচুর ঘাত-প্রতিঘাত এসেছে। তাও হাসি মুখেই সব সময় আসর জমিয়ে রাখেন তিনি।
খুব ছোটবেলায় ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মল্লিকা। যখন তাঁর মেয়ের বয়স ৯ বছর তখন পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান প্রথম স্বামী। তারপর ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর আবারও নতুন করে প্রেমে পড়েছিলেন তিনি, কিন্তু সেই সম্পর্কেও জুটেছিল শারীরিক নির্যাতন। ছাড়তে হয়েছিল কাজ। তবে এতেও থেমে যাননি মল্লিকা। তাঁর পথে আসা সব প্রতিরোধ পেরিয়ে কাজেই খুঁজে নিয়েছিলেন আনন্দ। মেয়ে নিয়ে একাই চালিয়ে গিয়েছিলে লড়াই।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের ডিভোর্স হচ্ছে’, রাজা-মধুবনীর বিচ্ছেদ? ভিডিয়ো পোস্ট করে যা বললেন তাঁরা
তবে তাঁর এই যুদ্ধে সহযোদ্ধা হিসেবে তিনি পাশে পান রুদ্রজিৎকে। কোভিডকালে রুদ্রজিতের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তিনি তাঁর ও গরিমার চিকিৎসক ছিলেন। পরে অবশ্য একটি অনুষ্ঠানে আরও ভালো করে তাঁদের আলাপ হয়।