ইডেনে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে নিজের কেরিয়ারে শেষবার খেলতে নেমেছেন বাংলার তারকা ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা। এই মাঠ থেকেই জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই মাঠ থেকেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চলেছেন বাংলার পাপালি। প্রথম ইনিংসে পঞ্জাব গুটিয়ে গেল মাত্র ১৯১ রানেই, ম্যাচ বাংলাকে জিততেই হবে রঞ্জির পরের রাউন্ডের ক্ষীণ আশাও জিইয়ে রাখতে গেলে।
আর নিজের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে ঋদ্ধিমান সাহাকে দেখা গেল চেনা উইকেটকিপারের ভূমিকায়। টিম ইন্ডিয়ার এই তারকা ক্রিকেটার কদিন পরই প্রাক্তন হয়ে যাবেন, কেরিয়ারের পড়ন্ত লগ্নে এসেও ঋদ্ধি কিন্তু গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে বেশ সাবলীল দেখালেন। দেখে মনেই হল না, এটা তাঁর শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।
সুরজ সিন্ধ জসওয়ালের বলে ম্যাচের প্রথম উইকেট আসে ঋদ্ধির গ্লাসভে বল ধরা দিয়েই, ০ রানে সাজঘরে ফেরেন বিশ্বনাথ সিং। আরেক পঞ্জাবি ওপেনার প্রভশিমরন সিংও দ্রুত আউট হয়ে যান ঋদ্ধির হাতে ধরা দিয়ে, এবার বোলার ছিলেন সুমিত মোহান্ত। ৪ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরেন। এরপর অবশ্য ঋদ্ধি গ্লাভস তুলে দেন বর্তমান বাংলার দলের পার্মানেন্ট উইকেটকিপার অভিষেকের পোড়েলের হাতে।
আসলে ঋদ্ধিমান সাহার কাছে ম্যাচের আগে থেকেই অনেকেই আবদার করেছিলেন যাতে তিনি একটু উইকেটকিপিং করেন। কারণ ব্যাটার ঋদ্ধির পাশাপাশি উইকেটরক্ষক ঋদ্ধির পরিচয় বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে আরও বেশি। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় ঋদ্ধির দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে নেওয়া ক্যাচগুলো এখনও ইউটিউবে ভেসে ওঠে। প্রথম এক ঘন্টা ঋদ্ধি কিপিং করে অভিষেককে ফের সেই দায়িত্ব গ্রহণ করতে বলেন।
ম্যাচের কথায় আসা গেলে পঞ্জাবকে ১৯১ রানে অলআউট করেছে বাংলা। সুরজ সিন্ধ জসওয়াল এবং সুমিত মোহান্ত চারটি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন মহম্মদ কাইফ। পঞ্জাবের উইকেটরক্ষক ব্যাটার অন্মোল মলহোত্রা অপরাজিত শতরান না করলে তাঁদের ইনিংস আরও কম রানে গুটিয়ে যেতে পারত। ১১৪ বলে ১০২ রান করেন তিনি। মারেন ১১টি চার এবং ২টি ছয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১রানে আউট হন অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায়।