মইন খান যত বড় ক্রিকেটার ছিল, তাঁর ছেলে আজম খান যেন ততটাই খারাপ তৈরি হচ্ছেন। পারফর্মেন্স তো মোটেই তাঁর তেমন আশানুরুপ নয়। ব্যাট হাতে জাতীয় দলের জার্সিতে টানা ব্যর্থ হওয়ার পর দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেললেও তেমন নজরকাড়া কিছুই করে দেখাতে পারেননা সচরাচর। এরই মধ্যে এবার ফের লোক হাসানোর মতোই কাজ করে বসলেন আজম।
স্টাম্পের পিছনে ব্যর্থ আজম-
পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার খেলছেন ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি২০তে। সেখানেই অদ্ভূত খারাপ ফিল্ডিং করে তিনি পড়লেন সমালোচনার মুখে। শারজাহ ওয়ারিয়র্সের সঙ্গে ডেজার্ট ভাইপার্সের ম্যাচ চলছিল। এটি আইএলটি২০র এবছরের ১৮তম ম্যাচ ছিল। সেখানেই স্টাম্পের পিছনে জঘন্য পারফরমেন্স দেখিয়ে লজ্জা বাড়ালেন আজম খান।
আইএলটি২০তে লোক হাসালেন আজম খান-
শারজাহ ওয়ারিয়র্স দল ব্যাটিং করছিল ডেজার্ট ভাইপার্সের বিরুদ্ধে। সেখানেই রান নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই ব্যাটার অ্যাস্টন অ্যাগর এবং লুক ওয়েলসের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল, যার ফলে দুই পক্ষের ব্যাটারই কার্যত একদিকে চলে আসায় রান আউটের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যা কাজে লাগালে ডেজার্ট ভাইপার্সের লাভ হত।
জঘন্য রান আউট মিস আজম খানের-
কিন্তু রানআউটের সহজ সুযোগই নষ্ট করলেন আজম খান। বল ধরতে গিয়ে তিনি মাটিতে একবার গড়াগড়ি খেয়ে নিলেন, কিন্তু সহজ বল ধরে রান আউট আর করতে পারলেন না। যা দেখে ফিল্ডার, বোলার সবাই অবাক হয়ে গেলেন। ব্যাটাররা সেই সুযোগে ক্রিজে ফিরে গেলেন এবং সেযাত্রায় বেঁচে গেলেন। স্রেফ রানআউটের হাত থেকে বাঁচাই নয়, তাঁরা রানও নিয়ে নেন সেই সুযোগে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে নেটদুনিয়ায়।
ভাইরাল ভিডিয়ো-
ডেজার্ট ভাইপার্স দল অবশ্য সহজেই এই ম্যাচ জিতে নেয়। তাঁদের ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস এবং স্যাম কারান ভালো ইনিংস খেলে দলকে ৮ উইকেটে জয় এনে দেন। হেলস এবং কারানের মধ্যে ১২৮ রানের পার্টনারশিপ পড়ে ওঠে। ১৫২ রান তাড়া করতে নেমে কোনও অসুবিধাই হয়নি ভাইপার্সদের। ৩৬ বলে অর্ধশতরান করেন হেলস, কারান করেন ৩৩ বলে অর্ধশতরান। ১৪.৫ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিয়ে প্লে অফের দিকে এক পা বাড়ালো ভাইপার্সরা।
এদিকে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও অদ্ভূত আরেকটি ডিআরএসের জন্য অধিনায়ককে বলেন আজম খান। টিম ডেভিডকে বোলিং করেন হাসারাঙ্গা। সেই বল যে ব্যাটে লেগেছে তা স্পষ্ট দেখা যায়। কিন্তু উইকেটের পিছন থেকে এতটাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আজম খান চিৎকার করতে থাকে যে অধিনায়ক ডিআরএস নেয়। এরপর দেখা যায় বল এবং প্যাডের মধ্যে প্রায় ৬ইঞ্চির ব্যাবধান রয়েছে। ব্যাটে সরাসরি বল লাগায় ডিআরএস নষ্ট হয়, এরপর ধারাভাষ্যকাররাও বিরক্তি প্রকাশ করেন এভাবে সময় নষ্ট হওয়ায়।