আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বকেয়া সেই টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি লোকসভা নির্বাচনের আগে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচন মিটতেই শুরু হয় সমীক্ষা। তারপর আজ, মঙ্গলবার থেকে অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকা শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করেন। এভাবেই কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরের কিস্তিতে আরও ৬০ হাজার দেওয়া হবে। এমনকী ২০২৬ সালের আগে আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে বাংলার বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আজ মঙ্গলবার বাংলা আবাস যোজনায় বা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে রাজ্যের ১২ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে গেল প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হল। আর যে ১৬ লক্ষের বাড়ি বাকি রইল সেটাও ২০২৬ সালের আগে আমরা দু’দফায় করে দেব। আগামী বছরের মে–জুন মাসে প্রথম ৮ লক্ষ এবং ডিসেম্বরে বাকি ৮ লক্ষকে বাড়ি তৈরির টাকা দেবে রাজ্য সরকার। আমরা কথা দিয়েছি। তাই সে কথা রাখলাম। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে নোটিশ পুলিশের, দুই শাগরেদ গ্রেফতার, প্রোমোটারকে মারধরের জের
অন্যদিকে এদিন নবান্ন সভাঘরে প্রতীকী হিসেবে ৪২ জন সুবিধাভোগীর হাতে চেক এবং স্মারকপত্র তুলে দেন। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার আগে এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আবাসে ১ নম্বর থাকা সত্ত্বেও গত ৩ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয়নি। বাংলার গরিব মানুষরা বঞ্চিত হন। তাই আমরা নিজেরাই ওই বাড়ি তৈরি করে দেব কথা দিয়েছিলাম। আমরা কথা দিয়ে তা রাখতে জানি। রাজ্য কথা দিলে কথা রাখে। রাজ্যের মোট ১৪ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা খরচ হবে। ১০০ দিন, ঐক্যশ্রী, ওবিসি, গ্রামীণ রাস্তার টাকা পাইনি। সব বন্ধ। আমরা তারপরও থেমে নেই। পথশ্রী প্রকল্প করেছি। ১০০ দিনের কাজের বদলে কর্মশ্রী চালু করেছি।’