ইতিমধ্যেই কলকাতার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বিশেষ করে হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড রুটে। অপরদিকে বহুদিন আগে থেকে চালু হওয়া শিয়ালদা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটেও ভালোই যাত্রী হয়। তবে হাওড়া ময়দান থেকে একেবারে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পরিষেবা চালু হয়ে গেলে এই রুটে যাত্রী সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে এই পরিষেবা চালু হলে সাধারণ মানুষেরও অনেক সুবিধা হবে। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই কলকাতাবাসীর প্রশ্ন, কবে চালু হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা? টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে এবার দাবি করা হল, ১৫ এপ্রিল, পয়লা বৈশাখের দিনেই চালু হয়ে যেতে পারে ১৬.৬ কিমি দীর্ঘ মেট্রো লাইনের টানা পরিষেবা। যদিও এই নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের বেশ কয়েকজন দ্বিধাবিভক্ত বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। অপরদিকে মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক অবশ্য দাবি করেছেন, এই খবরটি জল্পনামূলক। (আরও পড়ুন: ইমেল মোদী-রাষ্ট্রপতিকে, আরজি করের নির্যাতিতার বাবা জবাব পেলেন…)
আরও পড়ুন: ৪৬ নং রুটে বন্ধ থাকল বাস, কী ঝামেলার জেরে রাস্তায় গড়াল না চাকা?
আরও পড়ুন: রহস্যজনক ভাবে হোটেল ঘরে মৃত্যু TMC বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী, সঙ্গে থাকা মহিলা আটক
উল্লেখ্য, শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড অংশে বৌবাজার এলাকায় কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে সিআরএস সুরক্ষা সার্টিফিকেট প্রয়োজন পড়বে। এরই সঙ্গে রাজ্যের থেকে ফায়ারপ্রুফ সার্টিফিকেটও লাগবে। তারপরই এই গোটা লাইনে বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে। এই আবহে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ নাকি তাদের জানিয়েছেন, বর্তমানে বৌবাজার অংশে সিগন্যাল টেস্ট চলছে। আশা করা হচ্ছে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সেই টেস্ট সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। এরপরই সুড়ঙ্গের ক্রস প্যাসেজে ফায়ারপ্রুফ দরজা বসাো হবে। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে সিআরএস যাতে এই অংশের পরীক্ষায় আসে, সেই চেষ্টা করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। (আরও পড়ুন: খিদে বাড়ল চিনের, পদ্মার ইলিশ নিয়ে 'চিন্তা' বাড়বে এপার বাংলার খাদ্যরসিকদের?)
আরও পড়ুন: 'বিহারিদের সিভিক সেন্স নেই' বলে সাসপেন্ড শিক্ষক,বলেছিলেন- 'কলকাতা পছন্দ করে না…'
আরও পড়ুন: গরম বাড়তে চলেছে, কলকাতার আকাশে দেখা দেবে মেঘ, বাংলার কোথায় হবে বৃষ্টি?
এর আগে বৌবাজার অংশে মেট্রো লাইনে জিও ফিজিক্যাল টেমোগ্রাফিক সার্ভে চলেছিল। উল্লেখ্য, এর আগে মেট্রোর কাজের জেরে কলকাতা পুরসভার ৪৮ নং ওয়ার্ডের বহু বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছিল। মেট্রোর কাজের জন্য বউবাজারে প্রথমবার ধস নেমেছিল ২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট। সেই আতঙ্ক ফিরে আসে ২০২২ সালের ১১ মে। সেবছরই ১৪ অক্টোবর ফের ধস দেখা দেয় বউবাজারে। মাটির তলায় জল থাকায় মেট্রোর কাজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু বাড়ি। এখনও পর্যন্ত এত বছরে মেট্রোর কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বউবাজারের ৭০টি বাড়ি।