হাওড়া স্টেশন দিয়ে লোকাল ট্রেন যেমন বিপুল পরিমাণে যাতায়াত করে তেমন এখান থেকে দূরপাল্লারও প্রচুর ট্রেন যায়। সুতরাং লক্ষাধিক মানুষের ভিড় সবসময় দেখতে পাওয়া যায়। আর এই লক্ষাধিক মানুষের মধ্যেই মিশে যায় অপরাধীরা। অপরাধ ঘটাতে চেষ্টা করে। বেশ কিছু অপরাধীর নাম–নথি সব পুলিশের কাছে রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে অনেককে দেখা গেলেও, পুরনো নথি ঘেঁটে সেই অপরাধীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না সব সময়। এবার এই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এল রেল দফতর। যার ফলে সবটা সম্ভব হবে।
রেল সূত্রে খবর, হাওড়া স্টেশন দিয়ে রোজ প্রায় ১১ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। সুতরাং সংখ্যাটা প্রচুর। তার মধ্যে অপরাধী মিশে থাকলে খুঁজে পাওয়া কঠিন। রেল পুলিশের পক্ষে এই বিপুল জনস্রোতের মধ্যে পুরনো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধী চিহ্নিত করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই কারণে এবার হাওড়া স্টেশন জুড়ে অপরাধীদের ঠেকাতে ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা বসাচ্ছে রেল। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেছেন, ‘এখন প্রায় তিনশোর মতো ক্যামেরা রয়েছে হাওড়া স্টেশন চত্বরে।’
আরও পড়ুন: সিবিআই শান্তনু ঠাকুরকে ধরে না কেন? বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ
এই ফেস রিকগনিশন ক্যামেরার পাশাপাশি এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে রেল। এই দুটি বিষয় একসঙ্গে ঘটলে অপরাধী চিহ্নিত করা সহজ হয়ে যাবে। কয়েকদিন আগে হাওড়া স্টেশন থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় এক শিশুকে চুরি করা হয়েছিল। তারপর ভিন রাজ্যে পাচার করে দেয় এক মহিলা বলে অভিযোগ। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, এখন হাওড়া স্টেশনে যে সিসিটিভি রয়েছে, সেগুলি ফিক্স ক্যামেরা। বেশ কয়েকটিতে জুম ইন, জুম আউট করা যায়। কিন্তু ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা নয়। এবার সেগুলি বসানো হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে (এআই) কাজে লাগিয়ে ফেস রিকগনিশন ক্যামেরাগুলিকে কাজ করানো হবে।