বামফ্রন্টের জমানায় মউ চুক্তি হয়েছিল বরাহনগর বাজার সংস্কার করার বিষয়টি। কিন্তু সে চুক্তিতে ঝুঁকি থেকে মুক্তি মেলেনি ক্রেতা–বিক্রেতাদের। তাই বরাহনগর বাজার নতুন করে তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিল পুরসভা। যদিও সেই কাজ এখনও শুরু হয়নি। এখন বরাহনগর বাজারের অবস্থা ভগ্নপ্রায়। খসে পড়ছে চাঙড়। ঝুঁকি নিয়েই এখানে চলে ক্রেতা–বিক্রেতার দৈনন্দিন কাজকর্ম। এই কথা কানে যেতেই রবিবার বাজার পরিদর্শনে আসেন বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে এসে গোটা বাজার ঘুরে দেখেন এবং দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করতে বাজার সংস্কারের আশ্বাস দেন। যার পর আশার আলো দেখছেন বরাহনগরের বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, টাকির জমিদার হরেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী পরিবারের শরিকদের থেকে বহু দশক আগে এই বাজারটি কিনেছিল বরানগর পুরসভা। এখানে এখন স্থায়ী দোকান এবং স্টল মিলিয়ে ৩৩৬টির মতো দোকান আছে। তবে একাধিক অস্থায়ী দোকানও আছে। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বাজার আধুনিকীকরণ করা হবে বলে পুরসভা এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছিল। যা বাস্তবায়িত হয়নি। সমস্যা থেকেই গিয়েছে। তাই উপনির্বাচনের আগে বরাহনগর বাজার নতুন করে গড়ে তোলার কথা দিয়েছিলেন বিধায়ক সায়ন্তিকা। এবার সেটাই পরিদর্শন করে নিজের কথা রাখতে উদ্যোগী হলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: টানা ১৮ ঘণ্টা পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে হাওড়ায়, রাত পোহালেই সংকট শুরু
এই সংস্কারের উদ্যোগ দ্রুত না নিলে যে কোনওদিন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আর তাতে ক্রেতা–বিক্রেতা যে কারও ক্ষতি হতে পারে। কারণ এখন বাজারের প্রাচীন নির্মাণ ভেঙে পড়েছে। বর্ষার সময় আরও খারাপ অবস্থা হয়। দোকানদাররা কংক্রিটের ছাদের নীচে প্লাস্টিক টাঙিয়ে বসেন। না হলে চুঁইয়ে জল পড়তে থাকে। আবার সিমেন্ট–বালি খসেও পড়ে। আগে তো চাঙর ভেঙেও পড়েছে বলে দোকানদারদের সূত্রে খবর। এখন ইলেকট্রিকের সমস্যা থাকায় পাম্প বন্ধ আছে। তার জেরে তীব্র জলের কষ্ট রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দারস্থ হন। আর তারপরই রবিবার বাজার পরিদর্শন করেন এবং কমিটির সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক।