ব্যাকরণের একটা অংশ ছাড়া মোটের উপরে সহজ প্রশ্ন হয়েছে। কিন্তু কয়েকটি ক্ষেত্রে এবার মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষায় এমনভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে, যা সাধারণত হয় না। কলকাতার হিন্দু স্কুলের বাংলার শিক্ষক স্বাগত বিশ্বাস জানিয়েছেন, যে বিষয় (গদ্য বা পদ্য) থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এসেছে, সেখান থেকেই রচনাধর্মী প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। যা মাধ্যমিক পরীক্ষায় সচরাচর হয় না। আবার সাধারণত প্রতি বছর পদের কারক নির্ণয় করার যে প্রশ্ন থাকে, এবার সেটা আসেনি।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে হিন্দু স্কুলের বাংলার শিক্ষক জানিয়েছেন, লেখক ও সাংবাদিক শ্রীপান্থের 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' থেকে অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (২.৩.৪ দাগের প্রশ্ন) করা হয়েছে। আবার একটি রচনাধর্মী প্রশ্নও এসেছে (৬.২ দাগের প্রশ্ন - ‘আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা’, বক্তা কোথায় ফাউন্টেন কিনতে গিয়েছিলেন? তাঁর ফাউন্টেন পেন কেনার ঘটনাটি বিবৃত করো)। যা সচরাচর হয় না।
একই পদ্য থেকে ৩ ও ৫ নম্বরের প্রশ্ন!
একইভাবে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ থেকে তিন নম্বর এবং পাঁচ নম্বরের প্রশ্ন এসেছে। হিন্দু স্কুলের বাংলার শিক্ষক জানিয়েছেন, ৩.২.২ দাগের যে প্রশ্ন এসেছে, সেটা ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-র। যে প্রশ্নের পূর্ণমান হল তিন। আর ৫.২ দাগের যে রচনাধর্মী প্রশ্ন করা হয়েছে, সেটাও ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ থেকেই। যে প্রশ্নের পূর্ণমান হল পাঁচ।
৩.২.২ দাগের প্রশ্ন: ‘যে অদ্ভুত বারতা, জননি কোথায় পাইলে তুমি’ - ‘জননি’ কে? তাঁর কোন বার্তাকে ‘অদ্ভুত’ বলা হয়েছে? (১+২ নম্বর)
৫.২ ‘নমি পুুত্র পিতার চরণে, করযোড়ে কহিলা’- পিতা ও পুত্রের পরিচয় দাও। কবিতা অবলম্বনে পিতা-পুত্রের কথোপকথন সংক্ষেপে লেখো। (১+৪ নম্বর)
আরও পড়ুন: Madhyamik Exam Special Bus: স্পেশাল বাস চলবে মাধ্যমিক পরীক্ষায়, টেনশন হবে না!
কারণ নির্ণয়ের প্রশ্ন ছিল এবার, বললেন শিক্ষক
আবার সাধারণত মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষায় যে প্রশ্নটা আসে, তা এবার আসেনি বলে জানিয়েছেন হিন্দু স্কুলের বাংলার শিক্ষক। তাঁর কথায়, ‘এবারের বাংলা প্রশ্নপত্রে একটি বিষয় নজরে এল। সাধারণত একটি বাক্য দিয়ে তার কোনও পদের কারক নির্ণয় করতে দেওয়া হয়। এই বছর তেমন কোনও প্রশ্ন ব্যাকরণে ছিল না।’