ফেরি সার্ভিস এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ ফেরি পরিষেবার ক্ষেত্রে লঞ্চের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি বেশ কয়েক বছর বলে অভিযোগ। কয়েক মাস আগে উত্তর হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর সুপারিশ অনুযায়ী তৈরি হয় হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির মনোনীত পরিচালকমণ্ডলী। কিন্তু গঙ্গায় তারপরও ফেরি পরিষেবায় পরিস্থিতির তেমন কোনও বদল হয়নি বলে অভিযোগ। লঞ্চের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় ইতিমধ্যেই বসে গিয়েছে ১৫টি লঞ্চ। আগামী ২১ ডিসেম্বর তারিখের পরে বসে যেতে চলেছে আরও পাঁচটি লঞ্চ। তাই বড় সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। রাজ্য সরকারের কাছে সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে।
হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির লঞ্চে রোজ কয়েকশো যাত্রী নানা রুটে যাতায়াত করেন। কিন্তু এই লঞ্চগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ উঠছে। তার ফলে যাত্রী সুরক্ষা উপেক্ষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। গঙ্গায় উপর দিয়ে কলকাতা–হাওড়া যোগাযোগ স্থাপন করে এই লঞ্চগুলি। এই লঞ্চে যাত্রী পরিবহণের জন্য প্রত্যেক বছর সমীক্ষা করে ‘ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ট্রান্সপোর্ট’। আর লঞ্চগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রত্যেক পাঁচ বছর অন্তর সেগুলির ‘ড্রাই ডক’ করানো হয়। সেসব দীর্ঘদিন করা হয়নি বলে এবার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: নবান্নে মেয়রকে ডেকে রিপোর্ট নিলেন মুখ্যমন্ত্রী! কসবা কাণ্ডে কী কথা হল দু’পক্ষের?
এখনই যদি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা না যায় তাহলে বেশ কয়েকটি লঞ্চ বসে যাবে। সমবায় সমিতি সূত্রে খবর, একমাস পরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে পাঁচটি লঞ্চের পরিষেবা। যার মধ্যে তিনটি লঞ্চ— এমভি কংসাবতী, এমভি মতিঝিল এবং এমভি মেঘমা। বাকি দু’টি লঞ্চ— এমভি দৃষ্টি এবং এমভি চোখাচোখি। এগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা অবিলম্বে প্রয়োজন। প্রথম তিনটি লঞ্চের সমীক্ষার সময়সীমা শেষ হচ্ছে ১৮ ডিসেম্বর। বাকি দু’টির ২১ ডিসেম্বর। ২০২৩ সালে মোট ৮টি লঞ্চ বসে গিয়েছে। তখন যাত্রী পরিষেবা অব্যাহত রাখতে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি পাঁচটি লঞ্চ ভাড়া নেয় রাজ্য ভূতল পরিবহণ নিগমের কাছ থেকে।