নতুন প্রজন্মকে মাছ চেনাতে অভিনব উদ্যোগ নিল জেলা মৎস্য দফতর। শুধু পাঠ্যবইয়ে পড়লে হবে না। একেবারে সামনে থেকে চিনতে হবে মাছ। বেশিরভাগের বাড়িতেই রুই, কাতলা মাছ বাজার থেকে কাটিয়ে আসে। বাচ্চারা কিছু মাছ সেই অর্থে চেনে ঠিকই। কিন্তু কোনটা মাগুর, কোনটা শিঙি, কিংবা কোনটা কই, গলদা বা বাগদা এসব মাছ তারা চেনে না।কেন এমন উদ্যোগ মৎস্য দফতরের? মৎস্য দফতরের সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, ‘মাছ আর বাঙালি ওতপ্রতভাবে জড়িত। বাচ্চাদের মাছ সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় তারা খেতে চায় না। ফলে শরীরে পুষ্টি পৌঁছয় না। এমনকী মাছের সম্পর্কে অনীহা তৈরি হয়। সেখানে এই পাঠশালায় একদিকে মাছ যেমন চিনতে শিখবে বাচ্চারা তেমনই মাছ সম্পর্কে শিক্ষা অর্জন করতে পারবে।’ বন্দরশহর হলদিয়ায় “মাছ চেনার পাঠশালা” শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। হলদিয়ার পরানচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু পড়ুয়াদের মাছ চেনাতে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়ার মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। স্কুলের বাচ্চা ছেলে–মেয়েরা বিভিন্ন মাছের মজার বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলি গল্পের ছলে শুনে খুব খুশি হয়। সেখানে আঁকা হয় নানা মাছের ছবি। এমনকী ‘মাছকে চেনা’ বিষয়টি লেখা হয়।এই গোটা বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুকুমার শেঠ জানান, এই কর্মশালায় ছাত্রদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষিকাও উপকৃত হল। আর মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, এমন নানা কর্মসূচির ফলে নতুন প্রজন্মের কাছে হারিয়ে যাওয়া মাছ রক্ষার সঙ্গে প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা বাড়ানো যাচ্ছে।