বড়সড় পাচার রুখল ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স (ডিআরআই)। মায়ানমার থেকে ভারতে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল ৩৩ কোজি সোনা। বর্তমান বাজারে ১৭ কোটি টাকা মূল্যের ওই সোনা পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করলেন ডিআরআই আধিকারিকরা। ওই হলুদ ধাতু চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিআরআই।সূত্র মারফত খবর পেয়ে শুক্রবার শিলিগুড়িতে একটি ট্রাককে আটক করে তল্লাশি চালান ডিআরআই আধিকারিকরা। সেই ট্রাকে থাকা ৪ জনই রাজস্থানের বাসিন্দা। জেরার মুখে তারা ভেঙে পড়ে অপরাধের কথা স্বীকার করে। তারা জানায় যে বিদেশি ওই সোনা তাদের লাগেজে করে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।ওই ট্রাকে থাকা লাগেজ ব্যাগগুলির ভেতর থেকে মোট ২০২টি সোনার বার পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির মোট ওজন ৩৩ কেজি ৫৩২ গ্রাম এবং এর বাজারদর ১৭ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। ধৃতরা স্বীকার করেছে যে মণিপুরের সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে সোনা পাচার করা হয়েছিল এবং তারা ওই সোনা রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল।উল্লেখ্য, ২০১৯–২০ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কেজি সোনা অবৈধভাবে পাচারের সময় বাজেয়াপ্ত করেছে ডিআরআই। যার মোট মূল্য ১১৫ কোটি টাকারও বেশি। আর ২০২০–২১ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত ৯৮ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে যার বাজারমূল্য প্রায় ৫২ কোটি টাকা।