বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে উঠেছে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ। অনেক জায়গায় উপভোক্তাকে ভুল বুঝিয়ে তাদের টিপ ছাপ দিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন শাসকদলের নেতারা। এবার ফের সেই অভিযোগ উঠল মালদায়। তবে অভিযুক্ত তৃণমূল নয়, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের গহিলা গ্রামে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তাদের থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসি পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। টাকা চাওয়ার অভিযোগ মেনেও নিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযুক্ত স্বামী। ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়োও। সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুরে ভাইরাল হয় একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যাচ্ছে বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসি সদস্য নিরুপমা দাসের স্বামী সুপেন রায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তার বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন। অভিযোগ ওঠে, কারও কাছ থেকে ৫ হাজার, কারও কাছে ১০ হাজার বা তারও বেশি টাকা দাবি করছেন তিনি। টাকা না দিলে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের পরবর্তী কিস্তি ঢুকবে না বলেও হুমকি দিতে শোনা যাচ্ছে তাঁকে। গ্রামবাসীদের অভিযোদ, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীদের থেকে বিভিন্ন অছিলায় কাটমানি আদায় করে বেড়াচ্ছেন সুপেন দাস। এমনকী টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাড়িতে POS যন্ত্র নিয়ে গিয়ে টিপ ছাপ নিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছেন তিনি। অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন সুপেন রায়। তবে স্বামীর কীর্তি মানতে নারাজ পঞ্চায়েত সদস্য স্ত্রী। তাঁর দাবি, স্বামী নির্দোষ। অভিযোগের প্রাপ্তিস্বীকার করে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে কাটমানি আদায় করা হয়ে থাকলে তাঁরপ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’