বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের মধ্যে এবার মিলল এক যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। তিনি এই এলাকারই একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাটের এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বাড়ি দেগঙ্গায়। পরকীয়ার জেরেই এই খুন নাকি আত্মহত্যা? গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবতীর দেহকে উদ্ধার করল বসিরহাট থানার পুলিশ। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই যুবতী এক বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সোমবার রাতে ওই সেন্টারের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। কারও সাড়াশব্দ মিলছিল না। নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দারাই তখন বসিরহাট থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে ভিতরে ঝুলছেন ওই যুবতী। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সোদপুরে ফেরিওয়ালাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ
অন্যদিকে বিবাহিত ওই যুবতীর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, এক মাস আগেই এখানে এই বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটি খোলা হয়েছিল। ওই যুবতী বসিরহাটের যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। যদিও মৃত যুবতীর স্বামীর দাবি, স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না। ইতিমধ্যেই বসিরহাটের যুবক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে।